শিশুর আচরণগত পরিবর্তনের জন্য সব সময় খুব নির্দিষ্ট একটি অভ্যাস বা আচরণকে লক্ষ্য করে কাজ করা উচিৎ। আমরা অনেক সময়ই শিশুর আচরণকে একটি সামগ্রিক ভালো মন্দে তুলনা করতে পছন্দ করি, কিন্তু ঠিক কোন জায়গাটায় ভালো আর কোন জায়গায়টায় খারাপ তা নির্ণয়ে মনোযোগ দেই না। যেমন ধরুন 'ও খুব দুস্টমি করে' বা 'ও একদম কথা শোনে না' বলে যে মূল্যায়ন করি তাতে শিশুটির আচরণে কী সমস্যা বা আদৌ কোন সমস্যা আছে কিনা তা পরিষ্কার না।
প্রথমত শিশুর যে চঞ্চলতা তাকে আমরা অনেকেই দুস্টমি বলে অভিহিত করে থাকি। শিশু হয়তো সব কিছু জানতে চায়, তার জানার আগ্রহ থেকে চারপাশের সব কিছুতে হাত দিতে চাইবে, সেখান থেকে শিখতে চাইবে।এটা কিন্তু স্বাভাবিক একটা আচরণ। আমরা প্রাপ্ত বয়স্করাও কিন্তু প্রবল আগ্রহে চকচকে বা দামী কিছু দেখলে ছুয়ে দেখতে চাই এবং সেটা নিষেধ করলেও অনেক সময় শুনতে চাই না। এখানে পার্থক্য হচ্ছে শিশুর হয়তো আত্মনিয়ন্ত্রণ আমাদের চেয়ে কম থাকে, তাই অনেক সময় কয়েকবার বললেও নিজেকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে না।এ ক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য করতে হবে ঠিক কী করলে শিশু নিষিদ্ধ বস্তুতে হাত দিবে না বা সে নিজেকে থামাতে শিখবে। তারমানে তার ব্যবহারের খুবই সুনির্দিষ্ট একটি অংশ আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি এবং সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে। দ্বিতীয়ত শিশুর বাড়ন্ত শরীরের জন্য একটা সময়ে দিনে কয়েক ঘণ্টা ধরে খোলা মাঠে ছুটোছুটি করে খেলতে হয়। তার বেড়ে উঠার জন্য খোলা মাঠে খেলাটা খুবই জরুরি। শহুরে জীবনে আমরা হয়তো সেই ব্যবস্থাটা করতে পারছি না। কিন্তু শিশুর শরীর প্রাকৃতিক নিয়মেই বড় হতে থাকবে সে ঘরের মধ্যেই দৌড়াবে বা লাফাবে।এভাবেই সে তার এনার্জি খরচ করতে চাইবে। বিষয়টা আমাদের ভালো না লাগলে আমাদের উচিৎ তাকে এমনভাবে সাহায্য করা যাতে সে শিখতে পারে কীভাবে সে শারীরিক পরিশ্রমের কোনও খেলায় যুক্ত হতে পারে বা তার ঘরের ভিতর ছোটাছুটি বন্ধ করতে পারবে। মূল কথা হচ্ছে আচরণের ঠিক কোন জায়গাটায় পরিবর্তন আনতে হবে সেটা আমাদের এবং শিশুর উভয়ের জন্যই পরিষ্কার থাকতে হবে।এর সঙ্গে আমরা যাতে এটাও বুঝতে পারি শিশুর আচরণে ঠিক কী পরিবর্তন আশা করছি। মনে রাখতে হবে শিশুর যে আচরণে পরিবর্তন চাই, তা হতে হবে-
0 Comments
Leave a Reply. |
অন্যান্য BabuiTipশিশুর সঙ্গে ঘরের কাজ নতুন BabuiTipআরও পড়ুন- |